থাক্ নাহ্ কি দরকার চেচিয়ে বলার! আপনার পকেটের নিচের সেই হৃদপিন্ডের লাব-ডাব করে উচ্চারিত ভাষাটা আমি তো এভাবেই খুব সহজেই ডি-কোড করে নিতে পারছি। আপনি বলতে চাচ্ছেন বা বলছেন আর আমি শুনে নিচ্ছি। ব্যাস্ এটাই অনেক। রহস্য এভাবেই বাড়তে থাকুক। কি দরকার আছে পৃথিবীশুদ্ধ বুঝিয়ে বেড়াবার, নিজের ভালোলাগা বলে বলে তালিকাবদ্ধ করে রাখার। এর থেকে বরং আপনি আমাকে এভাবেই প্রতিদিনের চুপ থাকা সময়ে রেখে দিন। আমিও আপনাকে এভাবে রেখে দেই। দুজনে দুজনকে রাখি কেবল- চায়ের কাপের বাষ্পতে, ফুলের সুবাসে, ঘুমের গভীরে, হাসির কারণে, মন খারাপ দূরীকরণের কৌশলে, তারা দেখার মুহুর্তে, লোডশেডিং এর সময়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে শোনা গানে, লিখে না পাঠানো চিঠির খামের ভেতরে । দুজনকে দুজনে রেখে দেই সময়ের জন্য তুলে। কৃষ্ণচূড়া কিংবা কাঠগোলাপের মৌসুমে একদিন না হয় খুব কাছে এসে রহস্যভেদ করব। আজ না বলি। দুজনে দুজনের রহস্য থাকি। যেমন না পড়া বইয়ের মাঝে থাকে, লেখকের লেখি যাওয়া তার নিজস্ব অনুভুতির গাঢ় রহস্য কিংবা যেভাবে অনাবিষ্কৃত সভ্যতা থাকে লুকিয়ে মাটির তলায়। এভাবেই না হয় থাকি। দরকার কি চেচিয়ে বলার! বরং দুজনে দুজনের চোখে ভেসে উঠা শুদ্ধতর
কোনো শব্দই এখন আর নতুন নেই এই পৃথিবীতেই তবে সেই শব্দগুলো জুড়ে আমরা এখনো নতুনভাবে নতুন কিছু লিখতে পারি।