হাবিজাবি
আমার কথা
খুব ভালো নয়
বরং একটু আকটু পড়তে ভালোবাসে এমন যে কেউ আমার লেখাগুলো কোনো একটি লেখা একবার পড়লেই
আসলে বুঝে যাবে আমি লেখক বলার জন্য মূলত যোগ্য নই। আর আমি তা নিজেও মানি। শুধু যে মানি
তাই নয়, সাথে মনেপ্রাণে বিশ্বাসও করি। তবুও একজন সাধারণ মানুষের মনেও তো অনেক অনেক
জমানো কথা থাকে যা বলা কঠিন , আমি সেই সাধারণ মানুষই যেকিনা সেই জমানো কথাগুলো লিখে
ফেলি। হয়তো এই আশায় যে কোনো একদিন বসব অবসর হয়ে নিজের সাথে নিজে সেদিন এক এক করে সব
পড়ব আর নিজেই ভেবে আশ্চর্য হবো যে কেন লিখেছিলাম এই লেখাটি । তাই আমায় একজন লেখক ভাববেন
নাহ্ তাহলে সম্ভবনা এটারই বেশী যে আপনার মনে হবে এই হাবিজাবিগুলো পড়ে আপনার অনেকটা
সময় অপচয় হলো। তাই আমি অনুরোধ করব ভাবুন একজন সাধারণ ব্যক্তি নিজের কথাগুলো লিখে চলে
গিয়েছে, এখন আমায় জানার জন্য মূলত পড়ছেন।
অসম্ভব ভালো
থাকবেন। আপনার জন্য পৃথিবীর সব ভালোবাসা রইলো।
উৎসর্গ
সেই সুদর্শণাকে
আমি আমার হাবিজাবিগুলো উৎসর্গ করছি যাকে আমি কখনো প্রেমপত্র লিখেছিলাম ।
কি অসহ্য ছিল এ ভালোলাগা
জানি হতো কথা,
শোনা হতো ব্যথা,
দিন শেষে, ভালোবেসে-
ভালোবাসি অবুঝের মতো হতো বারবার বলা।
হুট করেই কেটে যেত সময়
আর অপেক্ষার, সে কি অসহ্য যন্ত্রণা !
দিন থেকে রাত হওয়া থেকে যেতো আড়ালেই অগনা
কি অসহ্য ছিল এ ভালোলাগা।।
চাঁয়ের কাপে,
রাতের চাঁদে,
ঘুমকে দিয়ে তালা
কত কত কথা কত কত রাত বলা।
আমি তোমায় লিখে লিখে
অযথাই কবি হয়ে থাকতাম
তুমিও বলতে আর আমিও বলতাম
কি অসহ্য ছিল এ ভালোলাগা ।
জানি হতো কথা,
শোনা হতো ব্যথা,
দিন শেষে, ভালোবেসে-
ভালোবাসি অবুঝের মতো হতো বারবার বলা।
শেষ বলে বলেও
এভাবে সেভাবে ওভাবে
আরো কত কথা, বলা শুরু হতো
কি অসহ্য ছিল এ ভালোলাগা ।
ভালোলাগা
সে ভালোলাগা!
অসহ্য ভালোলাগা -
কি অসহ্য ছিল এ ভালোলাগা।
পরগাছা
জানি তবে দেখা হবে।
একসময় কোনো একখানে।
শুকনো মৌসুমে এভাবেই হবে সুখের বৃষ্টি
আর এভাবেই ভেজা পথে অনেকটা দূর হাটা হবে
ছূটে চলা একলা হাত আচমকাই সঙ্গি পাবে।
এভাবেই দিনগুলোর কাছে, দিনটি জিতে যাবে, জিতে যাবে।
এভাবেই দুজনের মন পরগাছা হয়ে যাবে ।
জানিয়ে, জানা হবে।
উষ্ণ বাষ্প উঠা চিনেমাটি চ্যাঁয়ের কাপ দীর্ঘ আলাপে, ফুঁ
-হীনতায় জুড়াবে।
আমি তুমি , তুমি আমি এভাবেই দুজনার বিকেল হারাবে,
এভাবেই কথাগুলো সন্ধ্যে ছাড়াবে।
মনে মনে, মনেই করা যাবে নাহ্ , দুজনার আছে ফেরার মত এক বাড়ির
ঠিকানা !
এভাবেই মনের আঙ্গিনায় আমার তোমার আরেকটি হবে নিজস্ব ঠিকানা!
এভাবেই দুজনের মন পরগাছা হয়ে যাবে।
জানি তবে দেখা হবে।
এরপর। তারপরে পরগাছা হতে হবে।
আমি হতাম
আমি হতাম তাঁর প্রিয় কবি
কবিতায় তাকে রাখতাম
মনের কথাগুলো সে পড়তো
তাঁর নামে আমি হতাম
নীল খামে, হলুদ চিঠি তবে
তাঁর ঠিকানায় লিখতাম
মনের কথাগুলো সে পড়তো
তাঁর নামে আমি হতাম
প্রিয় চাঁদে তাকে আঁকতাম
কবিতায় শব্দে লুকিয়ে রাখতাম
মনের কথাগুলো সে পড়তো
তাঁর নামে আমি হতাম
আমি হতাম তাঁর প্রিয় লেখা
খেয়ালের নদীর কিনারায় একসাথে হাটতাম
টানে টানে তাঁর কাছেই যেতাম
তাঁর নামে আমি হতাম
আবার
আমি পেয়েও হারিয়েছি যাকে
কাছে পেয়েও সড়িয়ে দিয়েছি যাকে
যাকে নিজের মতো পেয়েও ভাবিনি নিজের
তাকেই চেয়ে যাচ্ছি আবার ।
ভালোবেসেও ভালোবেসে ভালোবাসি বলিনি যাকে
আবারো আমি এখন চাইছি তাকে
যাকে খুঁজে পাচ্ছি না আর নিজের করে
তাকেই চেয়ে যাচ্ছি আবার।
চেয়ে যাচ্ছি আবার নিজের করে।
প্রার্থনা করে আমি এখন চাইছি যাকে
প্রার্থনা ছাড়াই পেয়েছিলাম বহু আগে তাকে
ফিরে পাওয়া, ছাঁদে দাঁড়িয়ে আকাশের ছোঁয়ার মতো সম্ভব নয় জেনেও
তাকেই চেয়ে যাচ্ছি আবার।
চেয়ে যাচ্ছি আবার নিজের করে।
আমি পেয়েও হারিয়েছি যাকে
কাছে পেয়েও সড়িয়ে দিয়েছি যাকে
তাকেই চেয়ে যাচ্ছি আবার।
চেয়ে যাচ্ছি নিজের করে।
সন্যাসী
আমি শুন্য হয়ে আছি রয়ে
শূনত্যার ভিড়ে একা একা হাঁটাহাঁটি
আছি যদিও নেই তবুও
আমার সঙ্গে আমারই কাটাকাটি
আমার বিপক্ষে আমি
জিতেও, প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে হারি
শান্তিচুক্তি প্রবর্তক হয়ে লড়াইয়ের ঘোষণা করি
প্রতিপক্ষকে রক্তাক্ত করে, ঘরে রক্তাক্ত হয়ে ফিরি
বিষণ্ণতার মায়াজালে ঘুরপাক করা সন্যাসী আমি!
লোভ করব না, এমন লোভ করা সন্যাসী আমি!
আড়ালে
তুমি বিস্তৃত আকাশ হয়ে চারদিকে আছো
অজস্র মেঘের কান্নার বিনিময়ে, বিরল রঙ্গিন রংধনু হয়ে আসো
আমি তৃষ্ণার্থ হয়ে তাই আকাশ দেখি, মেঘের সন্ধান করি, বৃষ্টির
অপেক্ষা করি।
বিরল তোমায় কাছে পাওয়া
আড়ালে থাকো তুমি……আড়ালে।
হাওয়া মেখে তোমার শরীরের সুগন্ধ
আমায় বিমুগ্ধ করে
ভেসে আসা কাশফুলেরা কাছে এসে তাঁর গল্প করে
বিরল তোমায় কাছে পাওয়া
আড়ালে থাকো তুমি
।
।
।
…আড়ালে।
তোমারই অপেক্ষায়
তুমি রাখো
আমি থাকি
রোজ রোজই অপেক্ষায়
দিন কাটি, রাত জাগি
রোজ রোজই অপেক্ষায় তোমারই।
এই মুখ
ঐ চোখ
সেই হাঁসি
নরম মনের সবচেয়ে সুরক্ষিত সিন্দুকে রাখি
রোজ রোজই অপেক্ষায়
তোমারই অপেক্ষায়, অপেক্ষায়।
মনের ঘরে মন থাকে
রোজ রোজই অপেক্ষায়, তোমারই অপেক্ষায়।
তোমারও বুঝি এমনই হয়
রাত দিন কাটতে কাটতে দিন পাড় হয়
তোমারও বুঝি খুব মনে হয়
রোজ রোজই অপেক্ষায়
আমারই অপেক্ষায়, অপেক্ষায় ।
অসফল
যদি শেষ ট্রেনে আর না ফিরি ঘরে
যদি শেষ বিকালে আর না গুজে দিতে পারি ফুল তাঁর খোঁপাতে
যদি হাতে নিয়ে চায়ের কাপ তাঁর সাথে রাজ্যের গল্প আর না হয়
করা
যদি হাত ধরে তাঁর ভাঙ্গাতে না পারি আর রাগ
যদি সকালে কপালে না দিতে পারি আর সেই ফিরে আসবো বলে প্রতিশ্রুতিমূলক
আলতো উষ্ণ চুম্বন
যদি তাঁর কথা বরাবর বারবার আর না করি মনে
যদি আর না লিখতে পারি তাকে নিয়ে
তবে ঘোষণা দিলাম আমি অসফল!
বড্ড অসফল!
একেবারে অসফল! যাচ্ছে তাই রকমের অসফল!
আমায় কি লেখক বলত?
আচ্ছা !
মাটি যদি মারা যেত তাহলে কি তাকে পুড়ানো হতো নাকি মাটিতে
চাপা দেওয়া হত?
মেঘ যদি হারিয়ে যেত তাহলে আকাশ কি বাতাসের হতে তাঁর খোঁজ
নিত?
নদী যদি রাগ করতো তাহলে কেউ কি সমুদ্রে গিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা
করত?
গাছ যদি উঁচু জাতি হত তাহলে কি নিচু জাতিদের অম্লজানের বিপরীতে
অন্য কিছুর ব্যবস্থা করতে হত?
যদি দেয়ালেরও চোখ কান না হয়ে মুখ হতো তাহলে কি শত্রুদের প্রলোভনে
বেঈমানি করত?
ঘুম যদি বিক্রি হতো তাহলে মৃত লাশের বাজার হত?
যদি সুখের নাম কষ্ট হত তাহলে কি মানুষ কাঁদাকেই আনন্দ বলত?
।
।
।
।
।
আচ্ছা !
এই হাবিজাবি লেখাকেই যদি ভালো লেখা গন্য করা হত তাহলে কি
আমায় লেখক বলত?
আমি কথা দিচ্ছি কারাবাসী হয়ে থাকব।
আমি হয়ে এসেছি আসামী,
তুমি বন্দি করে নাও ।
এই চোখ নামক কারাগারে,
আমায় শেষকাল অবধি কারাবাসী করে নাও ।
আমি বড্ড বাধ্য কারাবাসী হবো ।
যদি প্রাচীর পরে যায় ,
যদি দরজা খোলা থেকে যায় ,
যদি আমায় মুক্তিও কেউ করতে চায়,
আমি কথা দিচ্ছি! আমি কারাবাসী হয়ে থাকবো।
হাবিজাবি
আমার কথা
খুব ভালো নয়
বরং একটু আকটু পড়তে ভালোবাসে এমন যে কেউ আমার লেখাগুলো কোনো একটি লেখা একবার পড়লেই
আসলে বুঝে যাবে আমি লেখক বলার জন্য মূলত যোগ্য নই। আর আমি তা নিজেও মানি। শুধু যে মানি
তাই নয়, সাথে মনেপ্রাণে বিশ্বাসও করি। তবুও একজন সাধারণ মানুষের মনেও তো অনেক অনেক
জমানো কথা থাকে যা বলা কঠিন , আমি সেই সাধারণ মানুষই যেকিনা সেই জমানো কথাগুলো লিখে
ফেলি। হয়তো এই আশায় যে কোনো একদিন বসব অবসর হয়ে নিজের সাথে নিজে সেদিন এক এক করে সব
পড়ব আর নিজেই ভেবে আশ্চর্য হবো যে কেন লিখেছিলাম এই লেখাটি । তাই আমায় একজন লেখক ভাববেন
নাহ্ তাহলে সম্ভবনা এটারই বেশী যে আপনার মনে হবে এই হাবিজাবিগুলো পড়ে আপনার অনেকটা
সময় অপচয় হলো। তাই আমি অনুরোধ করব ভাবুন একজন সাধারণ ব্যক্তি নিজের কথাগুলো লিখে চলে
গিয়েছে, এখন আমায় জানার জন্য মূলত পড়ছেন।
অসম্ভব ভালো
থাকবেন। আপনার জন্য পৃথিবীর সব ভালোবাসা রইলো।
উৎসর্গ
সেই সুদর্শণাকে
আমি আমার হাবিজাবিগুলো উৎসর্গ করছি যাকে আমি কখনো প্রেমপত্র লিখেছিলাম ।
কি অসহ্য ছিল এ ভালোলাগা
জানি হতো কথা,
শোনা হতো ব্যথা,
দিন শেষে, ভালোবেসে-
ভালোবাসি অবুঝের মতো হতো বারবার বলা।
হুট করেই কেটে যেত সময়
আর অপেক্ষার, সে কি অসহ্য যন্ত্রণা !
দিন থেকে রাত হওয়া থেকে যেতো আড়ালেই অগনা
কি অসহ্য ছিল এ ভালোলাগা।।
চাঁয়ের কাপে,
রাতের চাঁদে,
ঘুমকে দিয়ে তালা
কত কত কথা কত কত রাত বলা।
আমি তোমায় লিখে লিখে
অযথাই কবি হয়ে থাকতাম
তুমিও বলতে আর আমিও বলতাম
কি অসহ্য ছিল এ ভালোলাগা ।
জানি হতো কথা,
শোনা হতো ব্যথা,
দিন শেষে, ভালোবেসে-
ভালোবাসি অবুঝের মতো হতো বারবার বলা।
শেষ বলে বলেও
এভাবে সেভাবে ওভাবে
আরো কত কথা, বলা শুরু হতো
কি অসহ্য ছিল এ ভালোলাগা ।
ভালোলাগা
সে ভালোলাগা!
অসহ্য ভালোলাগা -
কি অসহ্য ছিল এ ভালোলাগা।
পরগাছা
জানি তবে দেখা হবে।
একসময় কোনো একখানে।
শুকনো মৌসুমে এভাবেই হবে সুখের বৃষ্টি
আর এভাবেই ভেজা পথে অনেকটা দূর হাটা হবে
ছূটে চলা একলা হাত আচমকাই সঙ্গি পাবে।
এভাবেই দিনগুলোর কাছে, দিনটি জিতে যাবে, জিতে যাবে।
এভাবেই দুজনের মন পরগাছা হয়ে যাবে ।
জানিয়ে, জানা হবে।
উষ্ণ বাষ্প উঠা চিনেমাটি চ্যাঁয়ের কাপ দীর্ঘ আলাপে, ফুঁ
-হীনতায় জুড়াবে।
আমি তুমি , তুমি আমি এভাবেই দুজনার বিকেল হারাবে,
এভাবেই কথাগুলো সন্ধ্যে ছাড়াবে।
মনে মনে, মনেই করা যাবে নাহ্ , দুজনার আছে ফেরার মত এক বাড়ির
ঠিকানা !
এভাবেই মনের আঙ্গিনায় আমার তোমার আরেকটি হবে নিজস্ব ঠিকানা!
এভাবেই দুজনের মন পরগাছা হয়ে যাবে।
জানি তবে দেখা হবে।
এরপর। তারপরে পরগাছা হতে হবে।
আমি হতাম
আমি হতাম তাঁর প্রিয় কবি
কবিতায় তাকে রাখতাম
মনের কথাগুলো সে পড়তো
তাঁর নামে আমি হতাম
নীল খামে, হলুদ চিঠি তবে
তাঁর ঠিকানায় লিখতাম
মনের কথাগুলো সে পড়তো
তাঁর নামে আমি হতাম
প্রিয় চাঁদে তাকে আঁকতাম
কবিতায় শব্দে লুকিয়ে রাখতাম
মনের কথাগুলো সে পড়তো
তাঁর নামে আমি হতাম
আমি হতাম তাঁর প্রিয় লেখা
খেয়ালের নদীর কিনারায় একসাথে হাটতাম
টানে টানে তাঁর কাছেই যেতাম
তাঁর নামে আমি হতাম
আবার
আমি পেয়েও হারিয়েছি যাকে
কাছে পেয়েও সড়িয়ে দিয়েছি যাকে
যাকে নিজের মতো পেয়েও ভাবিনি নিজের
তাকেই চেয়ে যাচ্ছি আবার ।
ভালোবেসেও ভালোবেসে ভালোবাসি বলিনি যাকে
আবারো আমি এখন চাইছি তাকে
যাকে খুঁজে পাচ্ছি না আর নিজের করে
তাকেই চেয়ে যাচ্ছি আবার।
চেয়ে যাচ্ছি আবার নিজের করে।
প্রার্থনা করে আমি এখন চাইছি যাকে
প্রার্থনা ছাড়াই পেয়েছিলাম বহু আগে তাকে
ফিরে পাওয়া, ছাঁদে দাঁড়িয়ে আকাশের ছোঁয়ার মতো সম্ভব নয় জেনেও
তাকেই চেয়ে যাচ্ছি আবার।
চেয়ে যাচ্ছি আবার নিজের করে।
আমি পেয়েও হারিয়েছি যাকে
কাছে পেয়েও সড়িয়ে দিয়েছি যাকে
তাকেই চেয়ে যাচ্ছি আবার।
চেয়ে যাচ্ছি নিজের করে।
সন্যাসী
আমি শুন্য হয়ে আছি রয়ে
শূনত্যার ভিড়ে একা একা হাঁটাহাঁটি
আছি যদিও নেই তবুও
আমার সঙ্গে আমারই কাটাকাটি
আমার বিপক্ষে আমি
জিতেও, প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে হারি
শান্তিচুক্তি প্রবর্তক হয়ে লড়াইয়ের ঘোষণা করি
প্রতিপক্ষকে রক্তাক্ত করে, ঘরে রক্তাক্ত হয়ে ফিরি
বিষণ্ণতার মায়াজালে ঘুরপাক করা সন্যাসী আমি!
লোভ করব না, এমন লোভ করা সন্যাসী আমি!
আড়ালে
তুমি বিস্তৃত আকাশ হয়ে চারদিকে আছো
অজস্র মেঘের কান্নার বিনিময়ে, বিরল রঙ্গিন রংধনু হয়ে আসো
আমি তৃষ্ণার্থ হয়ে তাই আকাশ দেখি, মেঘের সন্ধান করি, বৃষ্টির
অপেক্ষা করি।
বিরল তোমায় কাছে পাওয়া
আড়ালে থাকো তুমি……আড়ালে।
হাওয়া মেখে তোমার শরীরের সুগন্ধ
আমায় বিমুগ্ধ করে
ভেসে আসা কাশফুলেরা কাছে এসে তাঁর গল্প করে
বিরল তোমায় কাছে পাওয়া
আড়ালে থাকো তুমি
।
।
।
…আড়ালে।
তোমারই অপেক্ষায়
তুমি রাখো
আমি থাকি
রোজ রোজই অপেক্ষায়
দিন কাটি, রাত জাগি
রোজ রোজই অপেক্ষায় তোমারই।
এই মুখ
ঐ চোখ
সেই হাঁসি
নরম মনের সবচেয়ে সুরক্ষিত সিন্দুকে রাখি
রোজ রোজই অপেক্ষায়
তোমারই অপেক্ষায়, অপেক্ষায়।
মনের ঘরে মন থাকে
রোজ রোজই অপেক্ষায়, তোমারই অপেক্ষায়।
তোমারও বুঝি এমনই হয়
রাত দিন কাটতে কাটতে দিন পাড় হয়
তোমারও বুঝি খুব মনে হয়
রোজ রোজই অপেক্ষায়
আমারই অপেক্ষায়, অপেক্ষায় ।
অসফল
যদি শেষ ট্রেনে আর না ফিরি ঘরে
যদি শেষ বিকালে আর না গুজে দিতে পারি ফুল তাঁর খোঁপাতে
যদি হাতে নিয়ে চায়ের কাপ তাঁর সাথে রাজ্যের গল্প আর না হয়
করা
যদি হাত ধরে তাঁর ভাঙ্গাতে না পারি আর রাগ
যদি সকালে কপালে না দিতে পারি আর সেই ফিরে আসবো বলে প্রতিশ্রুতিমূলক
আলতো উষ্ণ চুম্বন
যদি তাঁর কথা বরাবর বারবার আর না করি মনে
যদি আর না লিখতে পারি তাকে নিয়ে
তবে ঘোষণা দিলাম আমি অসফল!
বড্ড অসফল!
একেবারে অসফল! যাচ্ছে তাই রকমের অসফল!
আমায় কি লেখক বলত?
আচ্ছা !
মাটি যদি মারা যেত তাহলে কি তাকে পুড়ানো হতো নাকি মাটিতে
চাপা দেওয়া হত?
মেঘ যদি হারিয়ে যেত তাহলে আকাশ কি বাতাসের হতে তাঁর খোঁজ
নিত?
নদী যদি রাগ করতো তাহলে কেউ কি সমুদ্রে গিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা
করত?
গাছ যদি উঁচু জাতি হত তাহলে কি নিচু জাতিদের অম্লজানের বিপরীতে
অন্য কিছুর ব্যবস্থা করতে হত?
যদি দেয়ালেরও চোখ কান না হয়ে মুখ হতো তাহলে কি শত্রুদের প্রলোভনে
বেঈমানি করত?
ঘুম যদি বিক্রি হতো তাহলে মৃত লাশের বাজার হত?
যদি সুখের নাম কষ্ট হত তাহলে কি মানুষ কাঁদাকেই আনন্দ বলত?
।
।
।
।
।
আচ্ছা !
এই হাবিজাবি লেখাকেই যদি ভালো লেখা গন্য করা হত তাহলে কি
আমায় লেখক বলত?
আমি কথা দিচ্ছি কারাবাসী হয়ে থাকব।
আমি হয়ে এসেছি আসামী,
তুমি বন্দি করে নাও ।
এই চোখ নামক কারাগারে,
আমায় শেষকাল অবধি কারাবাসী করে নাও ।
আমি বড্ড বাধ্য কারাবাসী হবো ।
যদি প্রাচীর পরে যায় ,
যদি দরজা খোলা থেকে যায় ,
যদি আমায় মুক্তিও কেউ করতে চায়,
আমি কথা দিচ্ছি! আমি কারাবাসী হয়ে থাকবো।
Comments
Post a Comment