Skip to main content

তার প্রতি আমার অনুভূতি । প্রেমপত্র । Love Letter

তার কাছে আমার মনের পত্র অর্থাৎ প্রেম পত্র ।



কিছু ভাবনা যা ভাবায় আমায় আর বলতে চায় কিছু বর্ণনা সারাক্ষণ তোমায় নিয়ে যা আমি ভাবি আর ভেবে যাই তোমায় আদৌও এই কথাগুলো বলবো কিভাবে। 

শতশত কথা আছে বলার তবে যদি ব্যাখ্যা করে দেখা যায় তবে আসলে সেই শতশত কথাগুলোর ঠিক একটাই মানে । আর তা ভালোবাসা ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়। 

কি বলবো তোমায় নিয়ে ? কিছুই তো আসলে নতুন নেই কেননা প্রতিটি কথার মানেই যদি উদ্ঘাটন করো তাহলে পাবে আমি তোমাকেই চাই , তোমারই হতে চাই আর আমার সকল কিছুর মাঝেই তোমাকে রেখে ঘুরে বেড়াই । যেখানে প্রিয় মানেই তুমি, আবার প্রিয় এর চাইতেও যা বেশি কিছু যা তাও যে ঠিক সেই তুমিই ! এমন প্রিয় যে , যতটুকু  কিনা আমি নিজের কাছে নিজেও এখন অবধি প্রিয় হয়ে উঠা সম্ভব হয়নি।
আর যদি বোঝাতে চাই কতটা বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ তুমি আমার কাছে হয়ে আছো তাহলে জানাতে হয় যে, এখন তুমি ছাড়া আমার কোনো কিছুই সম্পূর্ণ হওয়ার মতো নয়। কারণ এখন তো আমার ইচ্ছেরাও পথ ভুলে আজকাল পরে থাকে তোমার গলির সেই মোড়ে, ঠিক যেখানটাতে কিনা তোমার ঘরের, তোমার জানালাটা আছে মুখ করে ।

আর যদি জানতে চাও কতটা দখলদারী এখন আমার উপর তোমার তাহলে বলতে হয় ঠিক ততটা যতটা একজন পেতে পারে স্রষ্টা ও মা-বাবার পরে অর্থাৎ হয়ে আছো এমন প্রিয় যে আজ আমার সবটা জুড়ে ও আমার সবকিছুর সবটা হয়ে - সবসময় ছিল, আছে আর থাকবে। 
আর তাইতো ইচ্ছে করে আজ এই চোখগুলো করে থাকে মন খারাপ; শুধু তোমায় দেখবে বলে। এর মানে এই যে ঠিক এতটাই জুড়ে আছো তুমি আমার যার কারনে এখন নিজের কল্পনার উপরো নিয়ন্ত্রন নেই। সেই কারনেই আজ আমার কল্পনারাও রাতের সেই অন্ধকার পথ ধরে হাঁটে না যে পথ ধরে তুমি আসো না আমার এই স্বপ্নে । তাহলে এখন তুমিই বুঝে নাও আসলে কতটা আয়ত্তে আমি থাকি তোমার হয়ে নিজ হতে অনিয়ন্ত্রিত আমি ।

যেমন ক্ষুদ্র ধূলিকণা হতে শুরু করে গ্রহ নক্ষত্ররাও এই ব্রহ্মাণ্ডের অংশ ঠিক আমিও তোমার একটি অংশ হয়ে উঠেছি আর অন্যদিক হতে তুমি আমার ব্রহ্মান্ড যেখানে আমার ঠাই আর যা ছাড়া আমার আর কোনো গতি নেই।
তুমি আছো আমার আর আমারই হয়ে -!
আছো তুমি আমার সব সময়ের মাঝে যেখানে যখন আমি আমারো থাকিনা তখনো তুমি থাকো আমার হয়ে । 
এখন ভোরের সূর্যের আলোর রশ্মির আগেও আমার ঘুম ভাঙ্গিয়ে যাও তুমি আমায় আলতো করে স্পর্শ করে এই আমায় অনায়াসে।
যদি জানতে চাও কতটা ভাবি তোমায় তাহলে জেনে নাও যে এখন তুমি আমার প্রিয় অভ্যাস হয়ে উঠেছো তাইতো চোখ বুজে রাখা আর চোখ মেলে থাকা দুটোই এক কারন দুটোতেই এখন তোমায় দেখার অভ্যাস করে নিয়েছি আমি, - প্রিয় । 

 আমার আমি জুড়ে তোমার সেই তুমিকে রেখেছি পৃথিবীর অজানা ওজনের পরিমানের মতো ভর করে যা উঠিয়ে সরিয়ে ফেলার মতো শক্তি আর রাখিনা আমি এই জনমে আরো রেখেছি তোমায় আমার মৃত্যুর সময়ের মতো রহস্যময় বিষয়ের মতো গোপন করে । 


Comments

Popular posts from this blog

হাবিজাবি । এক অসম্পূর্ন , অপ্রকাশিত বই। সন্দীপ চন্দ্র দাস

            হাবিজাবি                       আমার কথা     খুব ভালো নয় বরং একটু আকটু পড়তে ভালোবাসে এমন যে কেউ আমার লেখাগুলো কোনো একটি লেখা একবার পড়লেই আসলে বুঝে যাবে আমি লেখক বলার জন্য মূলত যোগ্য নই। আর আমি তা নিজেও মানি। শুধু যে মানি তাই নয়, সাথে মনেপ্রাণে বিশ্বাসও করি। তবুও একজন সাধারণ মানুষের মনেও তো অনেক অনেক জমানো কথা থাকে যা বলা কঠিন , আমি সেই সাধারণ মানুষই যেকিনা সেই জমানো কথাগুলো লিখে ফেলি। হয়তো এই আশায় যে কোনো একদিন বসব অবসর হয়ে নিজের সাথে নিজে সেদিন এক এক করে সব পড়ব আর নিজেই ভেবে আশ্চর্য হবো যে কেন লিখেছিলাম এই লেখাটি । তাই আমায় একজন লেখক ভাববেন নাহ্‌ তাহলে সম্ভবনা এটারই বেশী যে আপনার মনে হবে এই হাবিজাবিগুলো পড়ে আপনার অনেকটা সময় অপচয় হলো। তাই আমি অনুরোধ করব ভাবুন একজন সাধারণ ব্যক্তি নিজের কথাগুলো লিখে চলে গিয়েছে, এখন আমায় জানার জন্য মূলত পড়ছেন।   অসম্ভব ভালো থাকবেন। আপনার জন্য পৃথিবীর সব ভালোবাসা রইলো।                                                   উৎসর্গ   সেই সুদর্শণাকে আমি আমা

তার মনের গলি ।

আমি জানি এই শহরের সকল অলিগলি , শুধু জানা আর হলো না- তার মনে অবধি গিয়েছে সেই এক রাস্তাটা ! আমি অসংখ্যবার বাহির হয়েছে সেই রাস্তার খোঁজে তবে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েই নিজ ঘরের রাস্তায় চলে এসেছি। এমনটা নয় যে জিজ্ঞাসা করিনি কাউকে সেই রাস্তার ঠিকানা !! কিন্তু কেউই জানতো না তাই জানাতে পারেনি আর যারা জানতো তারা নিজের অংশীদার চাচ্ছিল না তাই ইচ্ছে করে জানাই নি।   

সম্পর্ক | Sandip Chandra Das

 ফোনে কথা বলার শেষের দিকে হঠাৎ বলে উঠা-  "চলো দেখা করি !"  রাত ১২টা ৩৫ মিনিট আর ২৫ সেকেন্ড , সে বললো তুমি আসো আমি বারান্দায় দাড়ালাম ......... জলদি ! আমি বললাম না একটু দেড়ি করেই আসবো !!  ;কেন ? আমি চাই তুমি একটু সাজো ... ; ; না সাজলে হবে না ? হবে না কেন ! অবশ্যই হবে ।  ;জোর করবে না যাতে করে আমি সাজতে বাধ্য হই ? নাহ !  কেন ?  এমনি ( কারন আমি জানি সে সাজবেই ) ! তুমি বারান্দায় থেকো আমি আসছি । ' ' ১০ মিনিটের পথ - রাতে রিক্সাও নেই তাই হেটে হেটেই আসতে হচ্ছে ! ' হাতে চায়ের কাপ নিয়ে এই শীতের রাতেও সে বারান্দায় অনেক রাত অবধি অপেক্ষারত আছে সে , খুব সাজুগুজু করে তেমন কিছু নয় । একেবারে সাদামাটা বেশে ! চুল গুলো খুব সুন্দর করে বাধা , হাতে অল্পকিছু করে নীল চূড়ি পরা যাকিনা রাতের কারনে গাঢ় নীল রঙের দেখাচ্ছে আর কপালের মাঝামাঝিতে ছোট একটি কালো টিপ আর বোধহয় নীল রঙের কাপড় পরে আছে এবং নিজেকে সুন্দর করে জড়িয়ে রেখেছে আমার দেওয়া সেই মিষ্টি রঙ্গের কাশ্মিরী চাঁদর দিয়ে ( তার জন্যই চাঁদরটি আনা কেননা তার খুব শখ ছিল )।  আমি এসে হাজির !  সাধারনত এতো রাতের দিকে পথে কাউকে হাটতে দেখলে - পাহারা দেওয়া