Skip to main content

জাদুর লেখা | Sandip Chandra Das

 #আলাপচারিতা🌸





(জাদুর লেখা)


আমি কি চাই আসলেই জানতে চাইছেন? 

- হুম! আপনি কি চান? 

এটা কিন্তু খুব সহজ একটি প্রশ্ন তবে এর উত্তর খুব জটিল।

- তাই? 

হুম তাই! 

- সে যাইহোক! জটিল হলেও হোক, কঠিন হলেও হোক অথবা জটিল কঠিন উভয়ই হোক। আমি উত্তরটি জানতে চাইছি। তো জানাবেন কি?

হ্যাঁ হ্যাঁ! জানাবো জানাবো! তবে!  

- তবে কি? বলুন! 

জানতে হলে ধৈর্যশীল হতে হবে। আপনার দ্বারা কি তা সম্ভব? 

- আপনার কি মনে হচ্ছে? আমি বুঝি ধৈর্যশীল নই?

সত্যি বলব নাকি মিথ্যে? 

- মিথ্যে বলুন৷ 

আচ্ছা! তাহলে আমার মনে হয়ে খুব পারবেন৷ 

- হা হা হা! আপনি বলুন আমি পারব! 

এটা কি মিথ্যের বিপরীতে মিথ্যে বললেন? 

- হা হা হা নাহ্! আপনি হয়তো জানেন না আমি কতটা ধৈর্যশীল হতে পারি। 

আচ্ছা দেখা যাবে! 

- তো বলুন! শুনি। ধৈর্যশীল হয়েই শুনি। 

ঠিক আছে তাহলে শুনুন। আমি আসলে জাদুর লেখা লিখতে চাই। 

- জাদুর লেখা!! এ আবার কেমন লেখা? 

এটা লেখকের লেখা! 

- মানে? দুঃখিত, তবে আমি বুঝলাম না! 

বলেছিলাম নাহ্ এটি এক সহজ প্রশ্ন তবে উত্তর জটিল! 

- তো সহজ ভাবে কি বলা যায় না? 

হ্যাঁ যাবে! 

- তাহলে সেভাবে বলছেন না যে! 

আসলে সহজভাবে উওর দেওয়া সহজ তবে আমার জন্য আপনাকে সেটা বলা অসম্ভব কঠিন। 

- একবার আমার জন্য জটিল বলছেন, আবার আরেকবার নিজের জন্য কঠিন বলছেন। আচ্ছা আপনি কি বলতে চাইছেন? আদৌ কি বলতে চাইছেন তো? 

হ্যাঁ অবশ্যই আমি বলতে চাইছি যা আপনি জানতে চেয়েছেন!

- হ্যাঁ তো বলুন। জটিল কঠিনভাবে নয়। 

ঠিক আছে বলছি! তার আগে বলুন, আপনি আকাশের তারা'দের কথা বুঝতে পারেন? 

-নাহ্! তারা'রা কথা বলে বুঝি? আর বললেও, আপনার চাওয়ার বিষয়ে জানতে হলে বুঝি তারার কথাবার্তা বুঝতে হবে? 

একেবারেই নাহ্! তবে বুঝতে পারলে ভালো হতো। 

- উফফ! আপনি আসলে বলতেই চাইছেন নাহ্। আমি জানি! 

কোথায় নাহ্ তো! আমি তো মরিয়া হয়ে আছি বলা জন্য ঠিক সেই ময়ূরের মতো যেকিনা বৃষ্টির অপেক্ষায় আছে, আছে অপেক্ষায় পেখম তুলে নাচবে বলে, দেখাবে সে কতটা সুন্দরী হয়ে নাচতে পারে।

-কোথায় আপনার কথাবার্তা  দিয়ে তো তো একেবারেই মনে হচ্ছে না। 

ওহ মনে হচ্ছে না? তবে আসলেই বলতেই চাচ্ছি। 

-সত্যিই! তাহলে বলুন। 

বলছিলামই তো! আচ্ছা ছাড়ুন। এখন বলুন দেখি, আপনি চোখের ভাষা পড়তে পারেন? 

- আহা কি মুশকিল! চোখের আবার ভাষা হয় নাকি?

হয় হয়! আপনি পারেন কিনা তা বুঝতে, সেটা বলুন। 

- নাহ্। 

সত্যিই পারেন না? 

- হয়তো নাহ্, আজ অবধি চেষ্টাই করিনি। ছাড়ুন তো! আমার জানা লাগবে না! আপনি জানাতে চাচ্ছেন নাহ্ তা আমি বেশ্ বুঝে গিয়েছি। থাক কষ্ট করে জানানো লাগবে নাহ্! দুঃখিত কষ্ট দিলাম আপনাকে শুধু শুধু। আজ যাই তাহলে। 

হা হা হা কোথায়? 

- সিরিয়াসলি! আপনি হাসছেন!! হাসছেন আপনি! 🙄

জ্বী! 

-  আচ্ছা আমায় বলেন তো এখানে হাসার কি আছে? 

নাহ্ আসলে আপনি আসলেই খুব ধৈর্যশীল তো। এতটা ধৈর্যশক্তির অধিকারীনি আপনি হলেন কি করে? 

- আসলে আসলে! 

থাক্ আসলে নকলে আর বলা লাগবে নাহ্। বসুন বলছি। 

- সত্যি তো?

হ্যাঁ সত্যি। আমি জানি এবার না বললে আর কখনোই বলতে পারব না। তো বলছি। 

- সহজভাবে বলবেন কিন্তু। 

আচ্ছা! আসলে আমি চাই জাদূর লেখা লিখতে। 

- যেমন? 

যেমন! আমি যা লেখব মনে মনে তাই হয়ে যাবে।

- ধুর্ এমন হয় নাকি!! 

হ্যাঁ হয়তো হয় না তবে এটাই চাই আমি। 

- আচ্ছা সে নাহয় বুঝলাম। তবে বলুন দেখি আপনি কি কি লিখে তা সত্যি করতে চান। 

 কি কি নয় মূলত আমার একটাই চাওয়া।

- আর সেটা কি? 

সেটা হলো.....!

- হুম সেটা? 

আমি চাই, 'ভালোবাসি লিখতে' আর তারপর হতেই তুমি আমায় ভালোবাসতে শুরু করবে!  ☺️

ব্যাস্ এটাই চাই। 

- কি? 

আর কি নয়! শুধু এটাই লিখে সত্যি করতে চাই। বোঝা গেল? 

কোথায় চললেন? 


- (ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট চেপে রেখে, দু-গালে খুশিকে দমিয়ে রেখে গালগুলোকে লাল করে লজ্জাবতী হয়ে ছুটে গেল অজান্তেই এই লেখকের হতে দূরে) 

.

.

.

.


আচ্ছা লেখা কি সত্যি হলো? আমি কি জাদুর লেখা লিখে ফেললাম? হ্যাঁ? ভালোবাসতে আরম্ভ?  🙄

Comments

Popular posts from this blog

হাবিজাবি । এক অসম্পূর্ন , অপ্রকাশিত বই। সন্দীপ চন্দ্র দাস

            হাবিজাবি                       আমার কথা     খুব ভালো নয় বরং একটু আকটু পড়তে ভালোবাসে এমন যে কেউ আমার লেখাগুলো কোনো একটি লেখা একবার পড়লেই আসলে বুঝে যাবে আমি লেখক বলার জন্য মূলত যোগ্য নই। আর আমি তা নিজেও মানি। শুধু যে মানি তাই নয়, সাথে মনেপ্রাণে বিশ্বাসও করি। তবুও একজন সাধারণ মানুষের মনেও তো অনেক অনেক জমানো কথা থাকে যা বলা কঠিন , আমি সেই সাধারণ মানুষই যেকিনা সেই জমানো কথাগুলো লিখে ফেলি। হয়তো এই আশায় যে কোনো একদিন বসব অবসর হয়ে নিজের সাথে নিজে সেদিন এক এক করে সব পড়ব আর নিজেই ভেবে আশ্চর্য হবো যে কেন লিখেছিলাম এই লেখাটি । তাই আমায় একজন লেখক ভাববেন নাহ্‌ তাহলে সম্ভবনা এটারই বেশী যে আপনার মনে হবে এই হাবিজাবিগুলো পড়ে আপনার অনেকটা সময় অপচয় হলো। তাই আমি অনুরোধ করব ভাবুন একজন সাধারণ ব্যক্তি নিজের কথাগুলো লিখে চলে গিয়েছে, এখন আমায় জানার জন্য মূলত পড়ছেন।   অসম্ভব ভালো থাকবেন। আপনার জন্য পৃথিবীর সব ভালোবাসা রইলো।                                                   উৎসর্গ   সেই সুদর্শণাকে আমি আমা

তার মনের গলি ।

আমি জানি এই শহরের সকল অলিগলি , শুধু জানা আর হলো না- তার মনে অবধি গিয়েছে সেই এক রাস্তাটা ! আমি অসংখ্যবার বাহির হয়েছে সেই রাস্তার খোঁজে তবে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েই নিজ ঘরের রাস্তায় চলে এসেছি। এমনটা নয় যে জিজ্ঞাসা করিনি কাউকে সেই রাস্তার ঠিকানা !! কিন্তু কেউই জানতো না তাই জানাতে পারেনি আর যারা জানতো তারা নিজের অংশীদার চাচ্ছিল না তাই ইচ্ছে করে জানাই নি।   

সম্পর্ক | Sandip Chandra Das

 ফোনে কথা বলার শেষের দিকে হঠাৎ বলে উঠা-  "চলো দেখা করি !"  রাত ১২টা ৩৫ মিনিট আর ২৫ সেকেন্ড , সে বললো তুমি আসো আমি বারান্দায় দাড়ালাম ......... জলদি ! আমি বললাম না একটু দেড়ি করেই আসবো !!  ;কেন ? আমি চাই তুমি একটু সাজো ... ; ; না সাজলে হবে না ? হবে না কেন ! অবশ্যই হবে ।  ;জোর করবে না যাতে করে আমি সাজতে বাধ্য হই ? নাহ !  কেন ?  এমনি ( কারন আমি জানি সে সাজবেই ) ! তুমি বারান্দায় থেকো আমি আসছি । ' ' ১০ মিনিটের পথ - রাতে রিক্সাও নেই তাই হেটে হেটেই আসতে হচ্ছে ! ' হাতে চায়ের কাপ নিয়ে এই শীতের রাতেও সে বারান্দায় অনেক রাত অবধি অপেক্ষারত আছে সে , খুব সাজুগুজু করে তেমন কিছু নয় । একেবারে সাদামাটা বেশে ! চুল গুলো খুব সুন্দর করে বাধা , হাতে অল্পকিছু করে নীল চূড়ি পরা যাকিনা রাতের কারনে গাঢ় নীল রঙের দেখাচ্ছে আর কপালের মাঝামাঝিতে ছোট একটি কালো টিপ আর বোধহয় নীল রঙের কাপড় পরে আছে এবং নিজেকে সুন্দর করে জড়িয়ে রেখেছে আমার দেওয়া সেই মিষ্টি রঙ্গের কাশ্মিরী চাঁদর দিয়ে ( তার জন্যই চাঁদরটি আনা কেননা তার খুব শখ ছিল )।  আমি এসে হাজির !  সাধারনত এতো রাতের দিকে পথে কাউকে হাটতে দেখলে - পাহারা দেওয়া