Skip to main content

আহামরি কেউ নই। Sandip Chandra Das

 জীবনের এক ধাপে এসে এমন একবার অন্তত মনে হয় যে আমরা কিছু মানুষের জন্য যোগ্য নই। এটা এই কারণে নয় যে আমাদের বিপরীতে থাকা মানুষ খুব খারাপ আর আমরা খুব ভালো বা অসাধারণ কিছু একটা। এটা মূলত সেই সময় যখন আমরা প্রথম অনুভব করি, আসলে আমরা খুব আহামরি কেউ নই। এটা সেই সময় যখন নিজের দেখা বড় স্বপ্নগুলো নিজের কাছেই সত্যিকার অর্থে এতটাই বড় মনে হয় যে তার বাস্তবতা নিজের কাছেই একটা স্বপ্ন মনে হতে লাগে। যখন কিনা জীবনের অর্থ ভিন্ন কিছু হতে শুরু করে। নতুন নতুন মানুষের উপস্থিতি অস্বস্তিকর লাগতে থাকে। সকালের ঘুম থেকে উঠাটি জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ মনে হতে লাগে। মনে হয় ব্যাস্‌ এখন থেমে যাওয়ার সময়। এটা সেই সময় যখন নিজের সাথে নিজের বেশি সময় থাকা হয়। নিজের সব সত্যগুলো জানার কাজ শুরু হতে থাকে। যখন বয়সের হতে বেশি বড় হয়ে যাই। এটা সেই সময় যখন আমরা জেনে যাই যে সত্যিকার অর্থেই " আমি কেউ আহামরি কেউ নই"। শুধুমাত্র সেই বহুদূরের কোনো একটি তারার মতো যেটাকে চমকাতে পৃথিবীর সৃষ্টির সময় হতে আজ অবধি দেখাই যায় নি। তবে সে ছিল, এখনো আছে। যেটির থাকা কিংবা না থাকাতে কিছুই আসে যায় না, কারোই আসে যায় না। ব্যাস এমন একটি তারার মতোই খুব আহামরি কিছু নই।

আহামরি নই।


Comments

Popular posts from this blog

হাবিজাবি । এক অসম্পূর্ন , অপ্রকাশিত বই। সন্দীপ চন্দ্র দাস

            হাবিজাবি                       আমার কথা     খুব ভালো নয় বরং একটু আকটু পড়তে ভালোবাসে এমন যে কেউ আমার লেখাগুলো কোনো একটি লেখা একবার পড়লেই আসলে বুঝে যাবে আমি লেখক বলার জন্য মূলত যোগ্য নই। আর আমি তা নিজেও মানি। শুধু যে মানি তাই নয়, সাথে মনেপ্রাণে বিশ্বাসও করি। তবুও একজন সাধারণ মানুষের মনেও তো অনেক অনেক জমানো কথা থাকে যা বলা কঠিন , আমি সেই সাধারণ মানুষই যেকিনা সেই জমানো কথাগুলো লিখে ফেলি। হয়তো এই আশায় যে কোনো একদিন বসব অবসর হয়ে নিজের সাথে নিজে সেদিন এক এক করে সব পড়ব আর নিজেই ভেবে আশ্চর্য হবো যে কেন লিখেছিলাম এই লেখাটি । তাই আমায় একজন লেখক ভাববেন নাহ্‌ তাহলে সম্ভবনা এটারই বেশী যে আপনার মনে হবে এই হাবিজাবিগুলো পড়ে আপনার অনেকটা সময় অপচয় হলো। তাই আমি অনুরোধ করব ভাবুন একজন সাধারণ ব্যক্তি নিজের কথাগুলো লিখে চলে গিয়েছে, এখন আমায় জানার জন্য মূলত পড়ছেন।   অসম্ভব ভালো থাকবেন। আপনার জন্য পৃথিবীর সব ভালোবাসা রইলো।                                                   উৎসর্গ   সেই সুদর্শণাকে আমি আমা

তার মনের গলি ।

আমি জানি এই শহরের সকল অলিগলি , শুধু জানা আর হলো না- তার মনে অবধি গিয়েছে সেই এক রাস্তাটা ! আমি অসংখ্যবার বাহির হয়েছে সেই রাস্তার খোঁজে তবে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েই নিজ ঘরের রাস্তায় চলে এসেছি। এমনটা নয় যে জিজ্ঞাসা করিনি কাউকে সেই রাস্তার ঠিকানা !! কিন্তু কেউই জানতো না তাই জানাতে পারেনি আর যারা জানতো তারা নিজের অংশীদার চাচ্ছিল না তাই ইচ্ছে করে জানাই নি।   

সম্পর্ক | Sandip Chandra Das

 ফোনে কথা বলার শেষের দিকে হঠাৎ বলে উঠা-  "চলো দেখা করি !"  রাত ১২টা ৩৫ মিনিট আর ২৫ সেকেন্ড , সে বললো তুমি আসো আমি বারান্দায় দাড়ালাম ......... জলদি ! আমি বললাম না একটু দেড়ি করেই আসবো !!  ;কেন ? আমি চাই তুমি একটু সাজো ... ; ; না সাজলে হবে না ? হবে না কেন ! অবশ্যই হবে ।  ;জোর করবে না যাতে করে আমি সাজতে বাধ্য হই ? নাহ !  কেন ?  এমনি ( কারন আমি জানি সে সাজবেই ) ! তুমি বারান্দায় থেকো আমি আসছি । ' ' ১০ মিনিটের পথ - রাতে রিক্সাও নেই তাই হেটে হেটেই আসতে হচ্ছে ! ' হাতে চায়ের কাপ নিয়ে এই শীতের রাতেও সে বারান্দায় অনেক রাত অবধি অপেক্ষারত আছে সে , খুব সাজুগুজু করে তেমন কিছু নয় । একেবারে সাদামাটা বেশে ! চুল গুলো খুব সুন্দর করে বাধা , হাতে অল্পকিছু করে নীল চূড়ি পরা যাকিনা রাতের কারনে গাঢ় নীল রঙের দেখাচ্ছে আর কপালের মাঝামাঝিতে ছোট একটি কালো টিপ আর বোধহয় নীল রঙের কাপড় পরে আছে এবং নিজেকে সুন্দর করে জড়িয়ে রেখেছে আমার দেওয়া সেই মিষ্টি রঙ্গের কাশ্মিরী চাঁদর দিয়ে ( তার জন্যই চাঁদরটি আনা কেননা তার খুব শখ ছিল )।  আমি এসে হাজির !  সাধারনত এতো রাতের দিকে পথে কাউকে হাটতে দেখলে - পাহারা দেওয়া