নিজের মাঝে নিজের একটা অংশ আছে যেই অংশটি, সব চায়। সব পেতে আগ্রহী। সবার কাছাকাছি হতে ইচ্ছুক। সকলের প্রিয় হতে প্রয়াসী। নিজের হতে নিজের অনেক উচ্চ আকাঙ্খা। আর সে কিছু ঘটার আগেই সব নিজের মতো করে শুধু সুন্দর আর সুন্দর, গোছানোভাবে সব ভেবে রাখে। যার ধারণা সব তার হতে পারে। সব সে করতে পারে। যে অল্পতে সব ভুলে না। যে ভাবে সে ভুল নয়। ভুল হতে পারেনা। ভাবে তাকে চাওয়াটাই, পৃথিবীতে থাকা বাকি সবার জন্য প্রয়োজন।
এছাড়াও যে জানে কেবল সত্য বলটাই সত্য। যুক্তি দিলেই জয় হয়। না হেরে যাওয়া মানেই অন্য কাউকে জয় করা। যেকিনা জানে সে অহংকারী নয়। ভীষণ সাহসী। অসম্ভব ভালো। সে প্রশংসার যোগ্য। এই একটা অংশ, পুরোপুরি অংশের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখে। অল্প বয়সে এই অংশের সব চিন্তা ভালো লাগে। তবে, বয়স বাড়ে। ভুল সঠিকের ঊর্ধ্বেও কিছু থাকে তা বারবার, কোনো ঐশ্বরিক কিছু বোঝাতে থাকে। মনে হয় অনেক পাওয়ার পর, অনেক খালি হয়ে যাচ্ছি। অযোগ্য হয়ে যোগ্যতার মুকুট পড়ে ঘুরছি। তখন এই অংশটি যে কতটা আলাদা তা নজরে আসে।
আসলে নিজের এই অংশটাকে একসময় নিজের কাছে আর রাখতে ভালো লাগেনা। এক প্রকার অসহ্য লাগে। তবে নিজের হতে নিজেকে আলাদা করাটা কঠিন। আর এই কঠিন কাজটি, ছোট্ট এই জীবনকে, খুব বড় কঠিন বানিয়ে ফেলে।
নাহলে জীবন মৃত্যুর মাঝে এই ছোট উপহার বা সুযোগ যা-ই বলিনা কেন! এটা এত জটিল, এত কঠিন কেন?
নোটঃ ০১
Comments
Post a Comment