Skip to main content

নিজের হতে নিজেকে বাদ দেওয়া কঠিন | আত্মকথন | Note | Sandip Chandra Das

 নিজের মাঝে নিজের একটা অংশ আছে যেই অংশটি, সব চায়। সব পেতে আগ্রহী। সবার কাছাকাছি হতে ইচ্ছুক। সকলের প্রিয় হতে প্রয়াসী। নিজের হতে নিজের অনেক উচ্চ আকাঙ্খা। আর সে কিছু ঘটার আগেই সব নিজের মতো করে শুধু সুন্দর আর সুন্দর, গোছানোভাবে সব ভেবে রাখে। যার ধারণা সব তার হতে পারে। সব সে করতে পারে। যে অল্পতে সব ভুলে না। যে ভাবে সে ভুল নয়। ভুল হতে পারেনা। ভাবে তাকে চাওয়াটাই, পৃথিবীতে থাকা বাকি সবার জন্য প্রয়োজন। 

এছাড়াও যে জানে কেবল সত্য বলটাই সত্য। যুক্তি দিলেই জয় হয়। না হেরে যাওয়া মানেই অন্য কাউকে জয় করা। যেকিনা জানে সে অহংকারী নয়। ভীষণ সাহসী। অসম্ভব ভালো। সে প্রশংসার যোগ্য। এই একটা অংশ, পুরোপুরি অংশের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখে। অল্প বয়সে এই অংশের সব চিন্তা ভালো লাগে। তবে, বয়স বাড়ে। ভুল সঠিকের ঊর্ধ্বেও কিছু থাকে তা বারবার, কোনো ঐশ্বরিক কিছু বোঝাতে থাকে। মনে হয় অনেক পাওয়ার পর, অনেক খালি হয়ে যাচ্ছি। অযোগ্য হয়ে যোগ্যতার মুকুট পড়ে ঘুরছি। তখন এই অংশটি যে কতটা আলাদা তা নজরে আসে। 


আসলে নিজের এই অংশটাকে একসময় নিজের কাছে আর রাখতে ভালো লাগেনা। এক প্রকার অসহ্য লাগে। তবে নিজের হতে নিজেকে আলাদা করাটা কঠিন। আর এই কঠিন কাজটি, ছোট্ট এই জীবনকে, খুব বড় কঠিন বানিয়ে ফেলে। 


নাহলে জীবন মৃত্যুর মাঝে এই ছোট উপহার বা সুযোগ যা-ই বলিনা কেন! এটা এত জটিল, এত কঠিন কেন? 


নোটঃ ০১

Comments

Popular posts from this blog

হাবিজাবি । এক অসম্পূর্ন , অপ্রকাশিত বই। সন্দীপ চন্দ্র দাস

            হাবিজাবি                       আমার কথা     খুব ভালো নয় বরং একটু আকটু পড়তে ভালোবাসে এমন যে কেউ আমার লেখাগুলো কোনো একটি লেখা একবার পড়লেই আসলে বুঝে যাবে আমি লেখক বলার জন্য মূলত যোগ্য নই। আর আমি তা নিজেও মানি। শুধু যে মানি তাই নয়, সাথে মনেপ্রাণে বিশ্বাসও করি। তবুও একজন সাধারণ মানুষের মনেও তো অনেক অনেক জমানো কথা থাকে যা বলা কঠিন , আমি সেই সাধারণ মানুষই যেকিনা সেই জমানো কথাগুলো লিখে ফেলি। হয়তো এই আশায় যে কোনো একদিন বসব অবসর হয়ে নিজের সাথে নিজে সেদিন এক এক করে সব পড়ব আর নিজেই ভেবে আশ্চর্য হবো যে কেন লিখেছিলাম এই লেখাটি । তাই আমায় একজন লেখক ভাববেন নাহ্‌ তাহলে সম্ভবনা এটারই বেশী যে আপনার মনে হবে এই হাবিজাবিগুলো পড়ে আপনার অনেকটা সময় অপচয় হলো। তাই আমি অনুরোধ করব ভাবুন একজন সাধারণ ব্যক্তি নিজের কথাগুলো লিখে চলে গিয়েছে, এখন আমায় জানার জন্য মূলত পড়ছেন।   অসম্ভব ভালো থাকবেন। আপনার জন্য পৃথিবীর সব ভালোবাসা রইলো।                                                   উৎসর্গ   সেই সুদর্শণাকে আমি আমা

তার মনের গলি ।

আমি জানি এই শহরের সকল অলিগলি , শুধু জানা আর হলো না- তার মনে অবধি গিয়েছে সেই এক রাস্তাটা ! আমি অসংখ্যবার বাহির হয়েছে সেই রাস্তার খোঁজে তবে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েই নিজ ঘরের রাস্তায় চলে এসেছি। এমনটা নয় যে জিজ্ঞাসা করিনি কাউকে সেই রাস্তার ঠিকানা !! কিন্তু কেউই জানতো না তাই জানাতে পারেনি আর যারা জানতো তারা নিজের অংশীদার চাচ্ছিল না তাই ইচ্ছে করে জানাই নি।   

সম্পর্ক | Sandip Chandra Das

 ফোনে কথা বলার শেষের দিকে হঠাৎ বলে উঠা-  "চলো দেখা করি !"  রাত ১২টা ৩৫ মিনিট আর ২৫ সেকেন্ড , সে বললো তুমি আসো আমি বারান্দায় দাড়ালাম ......... জলদি ! আমি বললাম না একটু দেড়ি করেই আসবো !!  ;কেন ? আমি চাই তুমি একটু সাজো ... ; ; না সাজলে হবে না ? হবে না কেন ! অবশ্যই হবে ।  ;জোর করবে না যাতে করে আমি সাজতে বাধ্য হই ? নাহ !  কেন ?  এমনি ( কারন আমি জানি সে সাজবেই ) ! তুমি বারান্দায় থেকো আমি আসছি । ' ' ১০ মিনিটের পথ - রাতে রিক্সাও নেই তাই হেটে হেটেই আসতে হচ্ছে ! ' হাতে চায়ের কাপ নিয়ে এই শীতের রাতেও সে বারান্দায় অনেক রাত অবধি অপেক্ষারত আছে সে , খুব সাজুগুজু করে তেমন কিছু নয় । একেবারে সাদামাটা বেশে ! চুল গুলো খুব সুন্দর করে বাধা , হাতে অল্পকিছু করে নীল চূড়ি পরা যাকিনা রাতের কারনে গাঢ় নীল রঙের দেখাচ্ছে আর কপালের মাঝামাঝিতে ছোট একটি কালো টিপ আর বোধহয় নীল রঙের কাপড় পরে আছে এবং নিজেকে সুন্দর করে জড়িয়ে রেখেছে আমার দেওয়া সেই মিষ্টি রঙ্গের কাশ্মিরী চাঁদর দিয়ে ( তার জন্যই চাঁদরটি আনা কেননা তার খুব শখ ছিল )।  আমি এসে হাজির !  সাধারনত এতো রাতের দিকে পথে কাউকে হাটতে দেখলে - পাহারা দেওয়া