Skip to main content

এই শিকড় পৌঁছে গিয়েছে মনের তলদেশে। আলাপচারিতা

 #আলাপচারিতা 🌸

আচ্ছা তাহলে আজ উঠি! - এখনই? মাত্র বিকেল পাড় হলো আপনার সাথে, কথা তো ছিল সন্ধ্যে পাড় করার। - হ্যাঁ! তবে যেতে হবে। কেন? ভালো লাগছে না আপনার আমার সাথে বসে? কথা বলে? নিজের প্রিয় কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে নদী দেখতে? - হুম ভালো লাগছে! বরং আপনার সাথে বসে সময় কাটাতে ভীষন ভালো লাগছে। তাহলে চলে যেতে চাচ্ছেন যে? - ভয় করছে! ভয়! কিসের ভয়? - এই যে ভীষন ভালো লাগার ভয়। যদি মনে গেঁথে বসে থাকে, যদি মনের লোভ জন্ম হয়ে যায়, যদি অভ্যাস হয়ে যায়- এভাবেই থাকার। হলে বুঝি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে আপনার? - হুম! তখন নিজেকে আটকে রাখা সম্ভব হবে না! তখন এই সুখ বারবার ভোগ করতে ইচ্ছে করবে। আচ্ছা আপনি নিজেকে এত আটকে রাখেন কেন? মাঝে মাঝে নিজেকে অনিয়ন্ত্রিত রাখাটা কি খুব খারাপ কিছু? - হয়তো না! তাহলে? আপনি এমন করেন কেন? [মোহ এক বার জন্মে গেলে, তাও আবার কোনো মানুষকে ঘিরে জন্ম নিলে, তখন মনের ইচ্ছেরা মুক্ত হয়ে যায়। আর ইচ্ছেরা তখন যাচ্ছে তাই রকমের বিষয় আশা করে, কল্পনা করে। তা পূরণ না হলেই শুরু হয় মনের রোগ, চোখের রোগ, ঠোঁটের রোগ। জমে যায় বিষাদের স্তুপ৷ আর আমি (মুগ্ধ) তা কখনোই চাই না। আমি জানি আপনি (নিলাদ্রী) যতটা শক্ত নিজেকে দেখান বাহির হতে, ততটা বিন্দুমাত্রও নন, উল্টো আমায় ঘিরে নিজের জগৎ বানাতে গিয়ে দূর্বল হয়ে পরছেন] {মনের ভাবনা} কি হলো কি ভাবছেন মুগ্ধ সাহেব? এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই কি, এখান হতে চলে গেলেন? 😊 - নাহ্ তেমন কিছু না। আচ্ছা যাক্ আপনি তাহলে চলেই যেতে চাইছেন। - হুম! [মন চাইছে মুগ্ধ আপনার সাথে এভাবেই সময় কাটাতেই থাকি,তবে আপনার বারণের কারনটিকে যে কাটিয়ে যেতে পারছি না কোনোভাবেই] {মনের ভাবনা} - কি হলো ম্যাডাম এখন আপনি কি ভাবছেন? নাহ্! নাহ্! বিশেষ কিছু না৷ ঠিক আছে তাহলে যান৷ - আপনি যাবেন না? আপনার কি মনে হয়? চলে যাওয়া দরকার? জ্বী! যদি ভালো লাগে একা এখানে তাহলে থাকতেই পারেন। ঠিক আছে চলুন তাহলে৷ (ইচ্ছে যে একা থাকার নয়) [দুজনেই হাটা শুরু করেছে, কিছুক্ষণের মধ্যে আলাদা হয়ে যাবে দুটি পথ, দুজনের মনের ইচ্ছেগুলোও] - বাহ্ আপনি তো ধারুনভাবে শাড়িটি পরেছেন! দেখে মনে হচ্ছে শাড়ি প্রায়সই পরেন। প্রায় পরেন? মেয়েরা শাড়ি পরলে আপনার অনেক ভালো লাগে, তাই না? - হুম তবে! সবাইকে না! বিশেষদের, বরং বিশেষকে, যার প্রতি আমার ভালোলাগা কাজ করে। আচ্ছা সেটা ছাড়ুন! তো বলেন না যে, আপনি কি প্রায়সই পরেন? [শাড়ি আমি (নীলাদ্রি) কখনোই ততটা পছন্দ করিনি, তবে হঠাৎ করেই কি করে যেনো আপনার সাথে দেখা হওয়ার এই ৩ বছরের মধ্যে শাড়ি পরাটা শখের আর সবচেয়ে ভালোলাগার ব্যাপার হয়ে উঠেছে] - {মনের ভাবনা} - এই যে ম্যাডাম কোথায় হারিয়ে গিয়েছেন? কোথাও না! হ্যাঁ এখন প্রায়ই পরা হয়, বরং বলতে পারেন ঘন ঘন। তবে সবার জন্য নয়, আমারো আসলে আপনার মতো অভ্যাস- যার প্রতি আমার ভালোলাগা কাজ করে তার জন্যই পরি। [আপনি আমাকেই উদ্দেশ্য করে বলেছেন! আমি জানি নিলাদ্রী] {মনের ভাবনা} -ওহ আচ্ছা! তবে আমায় খারাপ দেখায় তাই না? মোটা বেশি মনে হয়? - কে বললো!! কেউ কিছু বলেনি তাই আমিই ধরে নিয়েছি। - ভুল ভাবেন আপনি। তো আপনার ভালো লাগে? - অসম্ভব লাগে! তাহলে একদিনও যে প্রশংসা পেলাম না। - হা হা হা! 😄 হাসছেন যে? সত্যটা লুকানোর জন্য? - নাহ্! আচ্ছা এখনি তাহলে করে দিচ্ছি। থাক্! আপনি তো মিথ্যে বলেন না! আজো পারবেন না তাই শুধু শুধু চেষ্টা করতে যাচ্ছেন কেন? কষ্ট হবে তো। - হ্যাঁ আমি মিথ্যে বলিনা আর আজো বলব না। কেননা প্রয়োজনই নেই। তবে সত্যি বলতে আমি প্রকাশ করতে চাচ্ছি না! কেন? -কারন আমি সুন্দরের চাইতে আরো বেশি সুন্দর কোনো শব্দ জানিনা। আর আপনাকে সুন্দর বলা মানেই খুব কম বলা। বলতে পারেন আপনার ক্ষেত্রে সেটা প্রশংসা বলে যায় না। কেননা প্রশংসা মানেই তো সেরাকে সেরাটা বলে খুশি করা। হা হা হা 😄 -হাসছেন যে? হাসবো না তো আর কি করব বলুন। -প্রশংসায় হাসে কেউ আজ দেখলাম। এছাড়া কি করব আপনিই বলুন, আপনি প্রশংসাটাও এমন সুন্দরভাবে করেন যে বিশ্বাস করার মতো নয়। -বিশ্বাস করবেন না তাহলে? তবে আমি যে সত্যি বলেছি। নাহ্ কি যে বলেন! আমি কখন বললাম আপনি মিথ্যা বলেছেন! আমার কি ততটা দুঃসাহস আছে আপনার মনে হয়? আপনি বলেছেন এটাই যথেষ্ট। এখন এটা মিথ্যেও যদি হতো তাহলেও আমার সেরা পাওনা। -এখন তো আমি বুঝতে পারছি না! যে আদৌ আপনি বিশ্বাস করলেন নাকি অবিশ্বাস, হা হা হা। 😄 আমি অবিশ্বাসকে বিশ্বাসের চেয়ে বেশি ধরে নিয়েছি। [দুজনেরই হাসতে হাসতে তাকিয়ে আছে দুজনেই দুজনের চোখের দিকে, তারা বুঝে গিয়েছে, যেই মোহ তে তারা আটকেছে সেটা আর ভাঙ্গা সম্ভব নয়। এবার ভালোবাসার অভিশাপ বয়েই যেতে হবে। এই পথ শেষ হবে না। তাদের মনের ইচ্ছের আর কখনো মৃত্যু হবে না, তাদের ভালোবাসার গাছের শিকড় মনের তলদেশে পৌঁছে গিয়েছে]

Comments

Popular posts from this blog

হাবিজাবি । এক অসম্পূর্ন , অপ্রকাশিত বই। সন্দীপ চন্দ্র দাস

            হাবিজাবি                       আমার কথা     খুব ভালো নয় বরং একটু আকটু পড়তে ভালোবাসে এমন যে কেউ আমার লেখাগুলো কোনো একটি লেখা একবার পড়লেই আসলে বুঝে যাবে আমি লেখক বলার জন্য মূলত যোগ্য নই। আর আমি তা নিজেও মানি। শুধু যে মানি তাই নয়, সাথে মনেপ্রাণে বিশ্বাসও করি। তবুও একজন সাধারণ মানুষের মনেও তো অনেক অনেক জমানো কথা থাকে যা বলা কঠিন , আমি সেই সাধারণ মানুষই যেকিনা সেই জমানো কথাগুলো লিখে ফেলি। হয়তো এই আশায় যে কোনো একদিন বসব অবসর হয়ে নিজের সাথে নিজে সেদিন এক এক করে সব পড়ব আর নিজেই ভেবে আশ্চর্য হবো যে কেন লিখেছিলাম এই লেখাটি । তাই আমায় একজন লেখক ভাববেন নাহ্‌ তাহলে সম্ভবনা এটারই বেশী যে আপনার মনে হবে এই হাবিজাবিগুলো পড়ে আপনার অনেকটা সময় অপচয় হলো। তাই আমি অনুরোধ করব ভাবুন একজন সাধারণ ব্যক্তি নিজের কথাগুলো লিখে চলে গিয়েছে, এখন আমায় জানার জন্য মূলত পড়ছেন।   অসম্ভব ভালো থাকবেন। আপনার জন্য পৃথিবীর সব ভালোবাসা রইলো।                                                   উৎসর্গ   সেই সুদর্শণাকে আমি আমা

তার মনের গলি ।

আমি জানি এই শহরের সকল অলিগলি , শুধু জানা আর হলো না- তার মনে অবধি গিয়েছে সেই এক রাস্তাটা ! আমি অসংখ্যবার বাহির হয়েছে সেই রাস্তার খোঁজে তবে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েই নিজ ঘরের রাস্তায় চলে এসেছি। এমনটা নয় যে জিজ্ঞাসা করিনি কাউকে সেই রাস্তার ঠিকানা !! কিন্তু কেউই জানতো না তাই জানাতে পারেনি আর যারা জানতো তারা নিজের অংশীদার চাচ্ছিল না তাই ইচ্ছে করে জানাই নি।   

সম্পর্ক | Sandip Chandra Das

 ফোনে কথা বলার শেষের দিকে হঠাৎ বলে উঠা-  "চলো দেখা করি !"  রাত ১২টা ৩৫ মিনিট আর ২৫ সেকেন্ড , সে বললো তুমি আসো আমি বারান্দায় দাড়ালাম ......... জলদি ! আমি বললাম না একটু দেড়ি করেই আসবো !!  ;কেন ? আমি চাই তুমি একটু সাজো ... ; ; না সাজলে হবে না ? হবে না কেন ! অবশ্যই হবে ।  ;জোর করবে না যাতে করে আমি সাজতে বাধ্য হই ? নাহ !  কেন ?  এমনি ( কারন আমি জানি সে সাজবেই ) ! তুমি বারান্দায় থেকো আমি আসছি । ' ' ১০ মিনিটের পথ - রাতে রিক্সাও নেই তাই হেটে হেটেই আসতে হচ্ছে ! ' হাতে চায়ের কাপ নিয়ে এই শীতের রাতেও সে বারান্দায় অনেক রাত অবধি অপেক্ষারত আছে সে , খুব সাজুগুজু করে তেমন কিছু নয় । একেবারে সাদামাটা বেশে ! চুল গুলো খুব সুন্দর করে বাধা , হাতে অল্পকিছু করে নীল চূড়ি পরা যাকিনা রাতের কারনে গাঢ় নীল রঙের দেখাচ্ছে আর কপালের মাঝামাঝিতে ছোট একটি কালো টিপ আর বোধহয় নীল রঙের কাপড় পরে আছে এবং নিজেকে সুন্দর করে জড়িয়ে রেখেছে আমার দেওয়া সেই মিষ্টি রঙ্গের কাশ্মিরী চাঁদর দিয়ে ( তার জন্যই চাঁদরটি আনা কেননা তার খুব শখ ছিল )।  আমি এসে হাজির !  সাধারনত এতো রাতের দিকে পথে কাউকে হাটতে দেখলে - পাহারা দেওয়া