Skip to main content

নিখোঁজের চিঠি । Sandip Chandra Das


৪ই জুন ২০২২ইং
১১/২ মেঘ নিবাস
কল্পনা নগর,ইচ্ছেপুর।
প্রিয় নীলাদ্রী ;
আশা রাখছি ভীষণ ভালোই আছেন। হঠাৎ করেই আপনাকে মনে করা আর বিরক্ত করা। আমি খুবই লজ্জিত। আসলে মস্ত বড় একটি বিপদে পড়েই আপনাকে মনে করা। আসলে ব্যাপারটি হলো, গতকিছু দিন ধরেই আমাকে পাওয়া যাচ্ছে না। মানে যাকে বলে নিখোঁজ। অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে, হচ্ছে। তবুও কোনো জায়গা থেকেই কোনো প্রকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক মনে করার চেষ্টা করার পর, খেয়াল হলো; ঐ যে সেদিন আপনার দেখা আমার সাথে আচমকায় রাস্তার ধাঁরে। দুজনেই দুদিকের পথ হতে একে অন্যের দিকে আসা। তারপর খানিকক্ষণ আলাপচারিতা করা। আশা করছি, আমি আপনাকে মনে করাতে পেরেছি আর আপনারও সেদিনটির কথা মনে আছে। মূলত আমি খেয়াল করে দেখলাম সেই শেষবারই আমাকে দেখা গিয়েছিল। তারপরই আমাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
আমার ও আমার একান্তই কাছের মানুষদের ধারণা আমি আপনার মধ্যে হারিয়ে গিয়েছে। তাই আপনার কাছে অনুরোধ একটু দেখবেন কি! যে আমাকে আপনি ভুলবসত নিয়ে গিয়েছেন কিনা। আমার মনেই হচ্ছে আমি আপনার কাছে চলে গিয়েছি, ইচ্ছে করে নিজেকে আপনার দ্বারা চুরি করিয়েছি। তাই বলছিলাম কি!! নিজের ভেতরে একটু দয়া করে খুঁজে দেখবেন কি?
ইতি
-যেকিনা নিখোঁজ

Comments

Popular posts from this blog

হাবিজাবি । এক অসম্পূর্ন , অপ্রকাশিত বই। সন্দীপ চন্দ্র দাস

            হাবিজাবি                       আমার কথা     খুব ভালো নয় বরং একটু আকটু পড়তে ভালোবাসে এমন যে কেউ আমার লেখাগুলো কোনো একটি লেখা একবার পড়লেই আসলে বুঝে যাবে আমি লেখক বলার জন্য মূলত যোগ্য নই। আর আমি তা নিজেও মানি। শুধু যে মানি তাই নয়, সাথে মনেপ্রাণে বিশ্বাসও করি। তবুও একজন সাধারণ মানুষের মনেও তো অনেক অনেক জমানো কথা থাকে যা বলা কঠিন , আমি সেই সাধারণ মানুষই যেকিনা সেই জমানো কথাগুলো লিখে ফেলি। হয়তো এই আশায় যে কোনো একদিন বসব অবসর হয়ে নিজের সাথে নিজে সেদিন এক এক করে সব পড়ব আর নিজেই ভেবে আশ্চর্য হবো যে কেন লিখেছিলাম এই লেখাটি । তাই আমায় একজন লেখক ভাববেন নাহ্‌ তাহলে সম্ভবনা এটারই বেশী যে আপনার মনে হবে এই হাবিজাবিগুলো পড়ে আপনার অনেকটা সময় অপচয় হলো। তাই আমি অনুরোধ করব ভাবুন একজন সাধারণ ব্যক্তি নিজের কথাগুলো লিখে চলে গিয়েছে, এখন আমায় জানার জন্য মূলত পড়ছেন।   অসম্ভব ভালো থাকবেন। আপনার জন্য পৃথিবীর সব ভালোবাসা রইলো।                                                   উৎসর্গ   সেই সুদর্শণাকে আমি আমা

তার মনের গলি ।

আমি জানি এই শহরের সকল অলিগলি , শুধু জানা আর হলো না- তার মনে অবধি গিয়েছে সেই এক রাস্তাটা ! আমি অসংখ্যবার বাহির হয়েছে সেই রাস্তার খোঁজে তবে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েই নিজ ঘরের রাস্তায় চলে এসেছি। এমনটা নয় যে জিজ্ঞাসা করিনি কাউকে সেই রাস্তার ঠিকানা !! কিন্তু কেউই জানতো না তাই জানাতে পারেনি আর যারা জানতো তারা নিজের অংশীদার চাচ্ছিল না তাই ইচ্ছে করে জানাই নি।   

সম্পর্ক | Sandip Chandra Das

 ফোনে কথা বলার শেষের দিকে হঠাৎ বলে উঠা-  "চলো দেখা করি !"  রাত ১২টা ৩৫ মিনিট আর ২৫ সেকেন্ড , সে বললো তুমি আসো আমি বারান্দায় দাড়ালাম ......... জলদি ! আমি বললাম না একটু দেড়ি করেই আসবো !!  ;কেন ? আমি চাই তুমি একটু সাজো ... ; ; না সাজলে হবে না ? হবে না কেন ! অবশ্যই হবে ।  ;জোর করবে না যাতে করে আমি সাজতে বাধ্য হই ? নাহ !  কেন ?  এমনি ( কারন আমি জানি সে সাজবেই ) ! তুমি বারান্দায় থেকো আমি আসছি । ' ' ১০ মিনিটের পথ - রাতে রিক্সাও নেই তাই হেটে হেটেই আসতে হচ্ছে ! ' হাতে চায়ের কাপ নিয়ে এই শীতের রাতেও সে বারান্দায় অনেক রাত অবধি অপেক্ষারত আছে সে , খুব সাজুগুজু করে তেমন কিছু নয় । একেবারে সাদামাটা বেশে ! চুল গুলো খুব সুন্দর করে বাধা , হাতে অল্পকিছু করে নীল চূড়ি পরা যাকিনা রাতের কারনে গাঢ় নীল রঙের দেখাচ্ছে আর কপালের মাঝামাঝিতে ছোট একটি কালো টিপ আর বোধহয় নীল রঙের কাপড় পরে আছে এবং নিজেকে সুন্দর করে জড়িয়ে রেখেছে আমার দেওয়া সেই মিষ্টি রঙ্গের কাশ্মিরী চাঁদর দিয়ে ( তার জন্যই চাঁদরটি আনা কেননা তার খুব শখ ছিল )।  আমি এসে হাজির !  সাধারনত এতো রাতের দিকে পথে কাউকে হাটতে দেখলে - পাহারা দেওয়া